বিশ্ব চকোলেট দিবস যা আন্তর্জাতিক চকোলেট দিবস হিসাবেও পরিচিত, প্রতিবছর ৭ ই জুলাই পালিত হয়। দিনটি ইউরোপীয়দের চকোলেট প্রবর্তনের দিন হিসাবে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় । চকোলেট, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দ্বারা উপভোগ্য একটি উপাদেয় খাবার । একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চকোলেট একসময় মায়ানস এবং অ্যাজটেকরা ঐশ্বরিক বস্তু হিসাবে মানতেন । যাইহোক, এখন এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। চকোলেট দিবসটির পালন প্রথম ইউরোপে শুরু হয়েছিল । ইতিহাসে চকোলেটের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও পড়ুন-
বিশ্ব চকোলেট দিবসের ইতিহাস
সোফি এবং মাইকেল কোয়ের লিখিত ‘দ্য ট্রু হিস্ট্রি অফ চকোলেট’ নামে একটি বইয়ে উদ্ধৃত করা হয়েছে যে, মানুষের চকোলেট খাওয়ার প্রমাণ মেলে তিন থেকে চার সহস্রাব্দের সময়ে । কলম্বিয়ার প্রাক যুগে মেলোয়ামেরিকার চিহ্ন পাওয়া যায়, যা ওলমেক চকোলেট তৈরি করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এটি ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল তা জানা যায়নি, তবে ইতিহাসের বই থেকে এটি পরিষ্কার যে ‘চকোলেট’ শব্দটি তৈরি হওয়ার আগে থেকেই চকোলেট খাওয়ার প্রচলন ছিল। আনুমানিক প্রায় ৪৫০ বছর আগে ইউরোপীয়ান মধ্যে কিছু মিষ্টি কিছু তেতো স্বাদের বস্তুটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ।
প্রাক-আধুনিক লাতিন আমেরিকার স্মিথসোনিয়ানের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কোকো বীজ অর্থ বা মুদ্রা হিসাবে ব্যবহৃত হত। অ্যাজটেকের ১৬ তম শতাব্দীতে খাদ্য পণ্যের মুল্য হিসাবে এটির চল ছিল। আধুনিক ইতিহাসে চকোলেট ‘প্যাটিস এবং কুকিস’ হিসাবে পরিচিত হলেও রিপোর্ট অনুসারে এর ব্যবহার কয়েক শতাব্দী আগেও পাওয়া যায়।
১৮৬৮ সাল নাগাদ, একটি সংস্থা, যারা এখন চকোলেট জগতের রাজা, একটি তিক্ত, মিষ্টি খাদ্য সংস্করণ তৈরি করেছিল। পরে আরও এক সংস্থা অগ্রণী নেসলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সেনাবাহিনীর কাছে জনপ্রিয় হওয়ায়, এটি প্রতিদিনের মুখরোচক খাবার হিসাবে জনপ্রিয় হয়েছিল। পরে এটির সাথে সাধারণ মানুষের সাথে পরিচয় হয়। আজ বিশ্বব্যাপী চকোলেট দিবস, যা একটি বহু-বিলিয়ন ডলারের শিল্প ।