রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকছেন। ২০২৪ সালে তাঁর প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণেই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে পুতিনের রাষ্ট্রনায়ক থাকার সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। অর্থাৎ ২০২৪ সালের পরে আরও ১২ বছর। গণভোটের পর দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ মানুষই পুতিনের নেতৃত্ব আরও ১২ বছর থাকতে চাইছেন। বেশির ভাগ মানুষই সংবিধান সংশোধনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৭ বছর। এই ভোটের ফলে তিনি ৮৩ বছর বয়স পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন, সেটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
রাশিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে পুতিনের পক্ষে এবং মাত্র ২১ শতাংশ ভোট পড়েছে বিপক্ষে। ভোট স্বচ্ছ এবং সঠিক ভাবেই গণনা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন ।
বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সেই নাভ্যালনি মন্তব্য করেছেন, এই ভোটের ফলাফল অনৈতিক। অনৈতিক ভাবে পুতিনকে সারা জীবনের জন্য ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেছে, এখন করোনা সংক্রমণের কারণে বড় কোনও আন্দোলনের পথে না হাঁটলেও আগামী দিনে দেশে বড় আন্দোলন শুরু হবে।
একটি মজাদার বিষয় ছিল এবারে রাশিয়ার গণভোটে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও ভোটারদের বুথমুখী করতে নানা রকম উপহার এবং অফার দিয়েছিল সরকার। যেখানে লাকি ড্র আয়োজনের মাধ্যমে পুরস্কার হিসাবে ফ্ল্যাট, নগদ অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কেউ কেউ তাঁদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার রুবেল-ও পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
ছবি – ফিনান্সিয়াল টাইমস
তথ্যসূত্রঃ নিউজ ১৮