থানকুনি – ছোট্ট গোলাকৃতি পাতা এবং খুবই পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। বহু যুগ ধরেই গ্রামাঞ্চলে এই থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। থানকুনি পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণ যা রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়। নিয়মিত থানকুনি পাতার সেবনে মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। আসুন দেখে নিই, থানকুনির ঔষধি গুণ গুলির সম্পর্কে –
অল্প পরিমাণ আম গাছের ছালের সঙ্গে ১টা আনারসের পাতা, হলুদের রস এবং পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে অল্প দিনেই যে কোনো ধরনের পেটের অসুখ সেরে যায়।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে থানকুনি পাতা খেলে আমাশয় দূর হবে হবে।
কাশির সমস্যায় ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মিশিয়ে খেলে এর প্রকোপ কম হয়ে যায়।
জ্বরের সময় ১ চামচ থানকুনি এবং ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অল্প সময়েই তা সেরে যেতে পারে।
সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে মাথার ত্বকের পুষ্টি বৃদ্ধি হয়, ফলে চুল পড়ার মাত্রা কম হতে থাকে। অন্যদিকে পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা থেঁতো করে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসি পাতা এবং আমলা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে সেটা চুলে লাগাতে হবে এবং কিছু সময় পর ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলে চুল পড়ার মাত্রা কম হতে পারে।
আরও পড়ুন – শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খান কাঁচা হলুদ
প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
শরীরের ক্ষতের চিকিৎসায় থানকুনি পাতার রস নিমেষে কষ্ট লাঘব করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি করে। থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে টিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যায় থানকুনি পাতার উপকারিতা অসীম। এই পাতা হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল, ত্বকের পুষ্টি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্যও করে।
হাফ লিটার দুধে ২৫০ গ্রাম মিছরি এবং অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
Centella Asiatica, Indian Pennywort, Gotu Kola
তথ্যসূত্রঃ নারীবার্তা