কী লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হল রিলায়েন্সের এই ই-কমার্স প্লাটফর্ম ?
ঠিক কেমন পরিষেবা দেবে এই জিওমার্ট
শুরু হয়ে গেল রিলায়েন্স জিওর ই-কমার্স পোর্টাল । ইতিমধ্যেই পণ্যের অর্ডার নেওয়াও শুরু করে দিয়েছে। কোন কোন পণ্য পাওয়া যাবে তা দেখা যাচ্ছে ওয়েবসাইটে। যে সব এলাকায় পরিষেবা মিলছে সেখানকার ক্রেতাদের জন্য এসে গেল এক মহা সুযোগ। শুধু একটা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থাকলেই বাজার হাতের মুঠোয় । ওয়েবাসইটে দেখা যাচ্ছে পণ্যের তালিকা ও দাম।
মুদির দোকান, ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা হকারদের অনলাইনে কেনাবেচা করার কোনও প্লাটফর্ম এতদিন ছিল না। লকডাউনে তাই এই ধরনের ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এবার জিওমার্ট সেই অভাব পূরণ করতে চলেছে। এই পরিষেবা ছোট ব্যবসায়ীদের রোজগারের নতুন রাস্তা খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জিওমার্ট থেকে মুদি দোকানের সামগ্রী তো বটেই সেই সঙ্গে আরও অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যাবে। তাজা ফলমূল, শাকসবজি, চাল, ডাল, তেল, প্যাকেটজাত খাবার, দুগ্ধজাত দ্রব্য সবই পাওয়া যাবে। এমনকি পার্সোনাল কেয়ারের সামগ্রীও মিলবে জিওমার্টের ভার্চুয়াল স্টোরে। যে কোনও কৃষক বা দোকানদার যাঁরা ছোট ব্যবসা করেন তাঁরাও জিওমার্ট মারফত অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
ভারতে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এই বিপুল সংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এক বড় বাজার। আর সেই বাজারটাই ধরতে চায় রিলায়েন্স। সংস্থারও একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর রয়েছে। ৮৮৫০০ ০৮০০০ এই নম্বরটিই মোবাইল ফোনে সেভ করতে হবে। গ্রাহকদের বিশেষ কিছুই করতে হবে না। শুধু ‘হাই’ লিখে ওই নম্বরে পাঠালেই চলবে। এর পরে দিতে হবে পিনকোড। এবার সেই পিনকোড এলাকায় যদি পরিষেবা চালু হয়ে তাকে তবে গ্রাহকদের হোয়াটসঅ্যাপে আসবে একটি লিঙ্ক। সেই লিঙ্কের ভ্যালিডিটি ৩০ মিনিট। এই সময়ের মধ্যেই লিঙ্কটি ব্যবহার করতে হবে। লিঙ্কে ক্লিক করলে একটা নতুন ওয়েবপেজ খুলবে। সেখানে গ্রাহককে নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দিতে হবে। সঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রীর ক্যাটালগ। সেখানে দামও উল্লেখ করা থাকবে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী সিলেক্ট করে অর্ডার দিতে হবে।
এই পরিষেবায় শুধু ক্রেতারাই নন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। গ্রাহকের অর্ডার দেওয়া হয়ে গেলে এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দোকানে চলে যাবে নির্দেশ। সেটা জিওমার্ট স্টোর হতে পারে আবার স্থানীয় পাড়ার দোকানও হতে পারে। কোন খানে অর্ডার গেল সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে গ্রাহককে। সামগ্রী ডেলিভারির জন্য তৈরি হয়ে গেলে গ্রাহকের কাছে ফের আসবে মেসেজ। এবার গিয়ে সংগ্রহ করে নিতে হবে নির্দিষ্ট দোকান বা স্টোর থেকে। শর্ত সাপেক্ষে হোম ডেলিভারির সুযোগও থাকবে।
এই পরিষেবা প্রথমে শুধু মহারাষ্ট্রের মুম্বই, থানে এবং কল্যাণে চালু করা হয়। এখন দিল্লি, নয়ডা, কলকাতাতেও মিলছে পরিষেবা। তবে আপনার এলাকায় এই পরিষেবা চালু হয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন সংস্থার হোয়টসঅ্যাপ নম্বরে আপনার পিনকোড পাঠালে।
আরও পড়ুন – লাদাখে চীনের সন্দেহজনক গতিবিধি, আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলে