চারবার ‘লকডাউন’- করার পর এ বার রাজ্যগুলিতে শুরু হতে চলেছে ‘আনলক-১’
লকডাউন ৪.০ শেষ হচ্ছে রবিবার ৩১ শে মে। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ৮ জুন থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। সোমবার ১ লা জুন থেকে প্রথম দফার ‘আনলক-১’ এ মন্দির-মসজিদ-গির্জার মতো সমস্ত ধর্মস্থান, হোটেল-রেস্তরাঁ এবং শপিং মল খোলার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। লোকাল ট্রেন বা মেট্রো রেল পরিষেবা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জুলাইয়ে স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা যায়। এই সবই রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত হবে পরের ধাপে। ক্রমশ খারাপের দিকে যাওয়া অর্থনীতির কথা ভেবেই ধাপে ধাপে এই লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।
কন্টেনমেন্ট জ়োন অর্থাৎ যে সব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি, সেখানে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন কঠোর ভাবে পালন করতে হবে। করোনা সংক্রমণের ৭০ শতাংশই রোগীই দেশের প্রধান শহরগুলিতে। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, হাওড়া, চেন্নাই, আমদাবাদ, পুণে, ঠাণে, হায়দরাবাদ, ইনদওর, জয়পুর, জোধপুর, চেঙ্গালপাট্টু, তিরুভাল্লুর— এই শহরগুলিতেই সব থেকে বেশি করোনা সংক্রমিত রোগী রয়েছে।
প্রথম ধাপ:
৮ জুন থেকে কী কী খুলছে ?
• ধর্মস্থান, পুজো-উপাসনার স্থান
• হোটেল-রেস্তরাঁ
• শপিং মল
দ্বিতীয় ধাপ:
- স্কুল-কলেজ, কোচিং ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে জুলাইয়ে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরে
তৃতীয় ধাপ: পরিস্থিতি বুঝে দিনক্ষণ ঠিক হবে ছাড়পত্রের (এখন যা বন্ধ) - মেট্রো রেল
- সিনেমা হল, জিমন্যাসিয়াম, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, প্রেক্ষাগৃহ, সমাবেশ হল
- আন্তর্জাতিক বিমান
- ক্রীড়া, রাজনৈতিক, বিনোদন, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বড় সমাবেশ
রাতের কার্ফু ?
• বজায় থাকবে। তবে সন্ধ্যা ৭টা-সকাল ৭টা-র বদলে রাত ৯টা-ভোর ৫টা পর্যন্ত
• আন্তঃরাজ্য যাতায়াত পারবেন। কোনও আলাদা অনুমতি, ই-পারমিট নিতে হবে না। পণ্য পরিবহণেও কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না
কন্টেনমেন্ট জ়োন-এর নিয়মাবলি
• স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জেলা প্রশাসন কন্টেনমেন্ট জ়োন চিহ্নিত করবে
• শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক কাজকর্মের অনুমতি থাকবে
• কন্টেনমেন্ট জ়োন-এর সীমানায় কড়া নিয়ন্ত্রণ
• চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া, ভিতরে ঢোকার অনুমতি মিলবে না
• কন্টেনমেন্ট জ়োন-এর বাইরে যেখানে নতুন সংক্রমণ ছড়াতে পারে, সেখানে বাফার জ়োন চিহ্নিত করবে রাজ্য
• রাজ্য মনে করলে কন্টেনমেন্ট জ়োন-এর বাইরেও প্রয়োজনমাফিক নিয়ন্ত্রণ জারি করতে পারে
এই সময় বয়স্ক, অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বা, শিশুদের ঘরে থাকাই ভাল
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার রাতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন। তার পরে প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহের বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথায়, ‘‘রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। কম-বেশি সকলেই এর সঙ্গে একমত। “গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ছাড়িয়ে দিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫,১৮৫।” অমিত শাহের কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে সংযম রাখতে হবে। আনলক হলেও সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ম মেনে চলতে হবে।’’