করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে কেরালা । এই মারণ ভাইরাস রুখতে সে রাজ্যের সরকারের রণকৌশলের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই সাফল্যের মধ্যেই নতুন খবর সামনে এল। রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে শুক্রবার কেরালা সরকার জানিয়েছে। তিরুবনন্তপুরম জেলার উপকূলবর্তী তিনটি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও প্রায় ৮০০ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর তাতেই আশঙ্কার মেঘ দেখছেন বিভিন্ন মহল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটছে, এমন তিনটি জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে অনচুথেংগু এবং পেরুমাথুরা পর্যন্ত এলাকা একটি জোন। দ্বিতীয় জোনটি পেরুমাথুরা থেকে ভিঝিনজম পর্যন্ত তৃতীয় জোনটি ভিঝিনজম থেকে উরাম্বু পর্যন্ত। এই সমস্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ পুলিশি বন্দোবস্তের পরিকল্পনার ভার দেওয়া হয়েছে তিরুবনন্তপুরমের সিটি পুলিশ কমিশনার বলরাম কুমার উপাধ্যায়ের উপরে। পুলিশ, পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতর, স্থানীয় পঞ্চায়ত-সহ সরকারি সংশিষ্ট সমস্ত দফতরকে নিয়ে কনট্রোল রুম খোলা হবে। এই তিনটি জোনের পরিস্থিতি নজরদারির জন্য আইএএস অফিসার নিয়োগ করা হবে। কেরালার উপকূলবর্তী এলাকাগুলির জনবসতি খুবই ঘন। ফলে এই সমস্ত এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। এই সমস্ত এলাকায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ফের কঠোরভাবে লকডাউন জারি হতে পারে।কেরালায় ফের ব্যাপকভাবে টেস্ট শুরু হয়েছে। বিশেষত উপকূলবর্তী এলাকায় টেস্টের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই গোষ্ঠী সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কারিনকুলম পঞ্চায়েতের পাল্লুউৃভিলাতে ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫১টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পোনথুরা আয়ুষ সেন্টারে টেস্ট হওয়া ৫০টি নমুনার মধ্যে ২৬টি পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অন্যদিকে, পুথুকুরিস্যেরিতে ৭৫টি নমুনার মধ্যে ২০টিতে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গিয়েছে। যা থেকে সরকারের সিদ্ধান্ত, চূড়ান্ত দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই সমস্ত এলাকায়।