বেশিরভাগ ভারতীয় পরিবারে লাঞ্চ হোক বা ডিনার প্রতিটি খাবারের শেষে একটু মৌরি খাবার প্রবণতা রয়েছে। খাবারের পর একটু মৌরি মুখে ফেলে নিলে, মনে হয় যেন পুরো ব্যাপারটার ঠিকঠাক সমাপ্তি ৷ কিন্তু জানেন কী? মৌরি শুধু মুখশুদ্ধিতে কাজে আসে না ৷ বরং এর স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর ৷
আমাদের বিভিন্ন রান্নার প্রস্তুতির উপর মৌরির খুব বড় প্রভাব রয়েছে । আপনি কি জানেন যে ভারত মৌরি বীজের বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ হিসাবে পরিচিত, যা সানফ নামে পরিচিত।
কপার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, আয়রন, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের উৎস এই মৌরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে, মৌরি আপনার রান্নার পুষ্টিগুণ বাড়ায়, যা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। আকারে এগুলি জিরার সাদৃশ্যযুক্ত হলেও মৌরি পুরোপুরি একটি আলাদা মশলা।
মৌরি বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। শুকনো মৌরি বীজের একটি চামচ ( প্রায় ৬ গ্রাম) প্রায় ২ গ্রাম ফাইবার উৎস । তুলনায় একটি আপেল প্রায় ৩-৪ গ্রাম ফাইবার আছে।
আপনার রোজকার খাবারে ফাইবার যুক্ত খাদ্য থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা যা গ্যাসের কারণ হতে পারে তা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং পাচনতন্ত্রের ক্রিয়াগুলি-কে সঠিকভাবে চলতে সহায়তা করে।
মৌরি গাছ এবং মৌরি বীজের উপকারিতা :
১. মৌরি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
২. মৌরি বায়ুজনিত রোগের জন্য উপকারী।
৩. জলমিশ্রিত মৌরির রস পেট ফাঁপা ও পেট কামড়ের জন্য উপকারী।
৪. মৌরি হজমের গোলযোগ এবং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে থাকে।
৫. মৌরি প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. মৌরি মুখের জ্বালা সারায়।
৭. মৌরি ঠান্ডা লাগলে তা সারাতে সহায়ক।
৮. মৌরির পাতার নির্যাস কৃমিনাশক।
৯. মৌরির কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী।
১০. মৌরি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়ক।
১১. মৌরি কোষ্ঠ-কাঠিন্য নিরাময়ে উপকারী।
১২. মৌরির পাতা গরম জলে সিদ্ধ করার পর এর ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিলে অ্যাজমা ও ব্রঙ্কাইটিস রোগে উপকার পাওয়া যায়।
স্বীকারক্তি : উপরোক্ত টিপস এবং পরামর্শগুলি সাধারণ তথ্যের জন্য। কোনও ডাক্তার বা চিকিত্সক পেশাদারের পরামর্শ হিসাবে এগুলি গ্রহণ করবেন না। অসুস্থতা বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।